বান্দরবান,রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলার দুর্গম এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদে ‘সালার বিদ্যুৎ সরবরাহ’নিশ্চিতে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম অচিরেই শুরু হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মতে পাহাড়ের প্রতিটি পাড়া গ্রাম মহলায় আলোকিত হওয়ার পাশাপাশি ধান ভাঙানোসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন সাধারণ বিদ্যুৎ বঞ্চিত পাহাড়ের কয়েক লাখ মানুষ। গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একনেক এর বৈঠকে চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ এবং উন্নয়ন সম্পর্কিত একটি মেগা প্রকল্পের অনুমোদনও দেয়া হয়। চলিত অর্থ বছরই পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় এলাকায় স’লে ‘‘সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহ পদ্ধতির’’ কাজ শুরু হবে বিদ্যুৎ বিভাগের মাধ্যমে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পাবত্য উন্নয়ন বোর্ডের বৃত্তি প্রধান কালে এসব কথা বলেন। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যুতায়ন ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যে আগে ১৮০ টাকা বরাদ্দ ছিল। গত ৫বছরে এ অর্থের মাধ্যমে বান্দরবানের সদর,লামা,বলিপাড়া,থানচি,রুমা,রোয়াংছড়ি এবং আলীকদম উপজেলার দুর্গম এলাকা সমূহ লক্ষ্যাধিক লোক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছেন। তবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম এলাকা সমুহে সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেই লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় সোলার পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারের সদিইচ্ছায় সম্প্রতি প্রায় ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ অর্থে সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালুর কার্যক্রম অচিরেই শুরু করা হবে বলে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্র্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত জীবন-যাত্রার সর্বত্রই ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার এবং আধুনিক জীবনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ বঞ্চিত গ্রাম-পাড়াগুলোতে এ সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এ কাজ শুরু করার মাধ্যমে অচিরেই এলাকা ভিত্তিক সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজের দৃশ্যমান হবে বলেও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি জানান। সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম সম্পর্কে বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবদুল কাদের গণি বলেন,পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষ করে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব পর নয় এবং বিদ্যুতের আলোবঞ্চিত এলাকা সমুহে টেকসই পদ্ধতিতে সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ শুরু করা হবে। এ লক্ষ্যে এলাকা-ভিত্তিক প্রাথমিক কাজও চলছে। তাছাড়াও বান্দরবান পৌর শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধিতকরণে সোলার বাতি সংবলিত ষ্ট্রীট লাইটও স্থাপন করা হবে। পৌর এলাকায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ করেছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: